মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারে আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় অল্পদিনের মধ্যে তরুন সমাজসেবক, সাংবাদিক পরিচয় পাওয়া চৌধুরী মোহাম্মদ মেরাজ সর্ম্পকে এম.এ. রহিম (সিআইপি) দেয়া স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
জামাত শিবির নেতা চৌধুরী মোহাম্মদ মেরাজ মৌলভীবাজারের আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদ্বয়ের ও ভ্রান্ত নীতির অধিকারী দু’একজন সাংবাদিকের এবং কতিপয় সামাজিক সংগঠনের নেতাদের সার্বিক সহযোগীতায় প্রশাসনের কাছে একজন তরুন সমাজসেবক ও সাংবাদিক হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে যুগ্ম সম্পাদক এস এম মেহেদী হাসান বলেন, চৌধুরী মোহাম্মদ মেরাজ মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের কোন প্রকার সদস্য নয়। এমনকি সাংবাদিকদের তালিকায় তার নাম নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, অনেক আওয়ামীলীগ নেতাদের পাশে এবং প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের পাশে বসা তার বিভিন্ন ছবি ভাইরাল হয়েছে। সে যে একজন জামাত শিবিরের নেতা, তাকি আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা অজানা ছিল। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এতদিন এ বিষয়ে কোন তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহযোগীতা করেনি।
আওয়ামীলীগ নেতার পাশে বসা ছবি দেখিয়ে নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে প্রবাসীদের কাছ থেকে।
শুধু কি চৌধুরী মোহাম্মদ মেরাজ? না, আরোও অনেকেই রয়েছেন। মৌলভীবাজার জেলায় আওয়ামীলীগের ছত্রছায়াও আরোও মেরাজ রয়েছেন। দ্রুত তাদেরকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
এম.এ. রহিম (সিআইপি) স্ট্যাটাসের পর রাজনৈতিক নেতাসহ নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন
এম.এ. রহিম (সিআইপি) স্ট্যাটাসটি হুবহু তোলে ধরা হয়েছে নিম্নে
মেরাজ আলী সম্পর্কে এম.এ. রহিম (সিআইপি) আমার বক্তব্য স্পষ্ট করছি-
আমি সাম্প্রতিক সময়ে দেখেছি ফেসবুকে মেরাজ চৌধুরী নামে একজন জামায়াত শিবিরের গুপ্তচরকে নিয়ে কথা উঠেছে। সে যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠক হয়েও আওয়ামীলীগের অনেক রাজনৈতিক নেতার সাথে সম্পর্ক রেখে ফায়দা নিচ্ছিল। যারা বিষয়টি সামনে এনেছেন তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই।
এই মেরাজ কার মাধ্যমে এই শহরের একজন সংগঠক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে আপনারা জানেন। সে সকলের কাছে ওই নেতাদের মাধ্যমে দ্রুত পরিচিতি লাভ করে। আমার কাছেও এসেছিল সেসব নেতাদের পরিচয় নিয়ে।
আমি সকল সামাজিক কাজে দলমত নির্বিশেষে সহযোগিতা করি। তাদের সাথে আমার বয়সের পার্থক্য ৩০/৪০ বছর। রাজনীতিতে অতীতে কার কী ইতিহাস আমার পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না, কারণ এরা আমার সমসাময়িক রাজনীতি করেনি। আমি প্রবাসের রাজনীতিতে ব্যস্ত থাকায় তাদের সম্পর্কে তখনও জানতে পারিনি। মৌলভীবাজারের যারা ধারাবাহিকভাবে সক্রিয় রাজনীতি করে আসছেন তারা তো জানতে পারতেন এই মেরাজ সম্পর্কে?
এমপি মন্ত্রী থেকে শুরু করে সবার সাথে এই মেরাজের সম্পর্ক। তারা কেন জানবেন না এই মেরাজের রাজনৈতিক পরিচয়। তারা কেন সেটা জানার চেষ্টা করেননি? সেটা না করে তারা মেরাজকে প্রশ্রয় দিয়েছেন তাদের পরিচয় দেখিয়ে সে আমার কাছে বিভিন্ন সামাজিক দাবির ব্যাপারে সহযোগিতা চাইতে এসেছে। বর্তমানে আমি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকায় আমি তার সাথে শুধু মাত্র একজন সংগঠক হিসেবে কুশল বিনিময় করেছি দেখা সাক্ষাৎ হলে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়েও আমি তাকে প্রথম সারিতে দেখেছি। আমার সাথে তার অনেক ছবি উঠেছে। একজন রাজনীতিবিদের সাথে এমন অনেকের ছবি থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু তার কোনো সাংগঠনিক কাজে আমার পৃষ্ঠপোষকতা নেই। আমি তাকে কোনো সুযোগ তৈরি করে দেইনি।
আমি তার বিস্তারিত পরিচয় জানতাম না এবং আমার বাস্তবতায় তা জানা সম্ভব ছিল না। নতুবা বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক আদর্শকে বুকে ধারণ করে আমি একজন স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদী পক্ষের সংগঠককে সমর্থন করতে পারি না। কিংবা সম্পর্ক রাখার প্রশ্ন আসে না।
সম্প্রতি একটা পর্যায়ে আমি তার সম্পর্কে জানার পর আমি তাকে এড়িয়ে চলা শুরু করি। এ ব্যাপারে আমার ঘনিষ্ঠজন আমাকে তথ্য দেয়ার পর আমি সতর্ক হয়ে যাই। আমি এই বিতর্কের ব্যাপারে আমার অবস্থান স্পষ্ট করলাম মাত্র এবং আপনাদের জ্ঞাতার্থে আমি তাকে বর্জন করার ঘোষণা দিচ্ছি।
এখন আপনারা মৌলভীবাজারের মানুষ আসল সত্য জানার চেষ্টা করুন কাদের মদদে এই মেরাজসহ অন্যান্য জামায়াত শিবির চক্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কাদের সাথে তাদের আপনারা সবসময় দেখছেন। এই মেরাজ শুধু নয়, অন্যান্য জামায়াতের সংগঠকরাও এখন নেতাদের আশ্রয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে। প্রবাসীদের হাতিয়ে সুযোগ নিচ্ছে। আমার প্রবাসী শুভাকাঙ্ক্ষীদেরও আমি সতর্ক করছি।
জামায়াত শিবির স্বাধীনতা বিরোধীদের বয়কট করুন এখনই।
জয় বাঙলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয়তু জননেত্রী শেখ হাসিনা।
-আলহাজ এম.এ. রহিম (সিআইপি)